মোবাইলে পরিচয়, দেখা করতে এসে ধর্ষিত
কুমিল্লায় ব্রাহ্মণপাড়ায় ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া এক মাদ্রাসাছাত্রীকে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগে রবিউল আউয়াল (২৯) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (৭ অক্টোবর) ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত রবিউলকে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ষাটশালা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে।
এ ঘটনায় পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রবিউল আউয়াল অভিযোগ স্বীকার করেছেন।
গ্রেফতারকৃত রবিউল আউয়াল কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানার হায়দারাবাদ গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। তাকে একইদিন দুপুরেই পুলিশ কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপস্থিত করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠান।
এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার ছাত্রীকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষা জন্য পাঠানো হয়েছে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার বাঙ্গরা থানার স্থানীয় মাদ্রাসার নবম শ্রেণির এক ছাত্রীর সঙ্গে মুঠোফোনে পরিচয় হয় রবিউল আউয়াল নামের এক যুবকের। ওই পরিচয়ের সূত্র ধরে গত (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মাধবপুর বাজারে দেখা করতে এলে রবিউল আউয়ালসহ আরও দুই সহযোগী মাদ্রাসাছাত্রীকে প্রাইভেটকারে তুলে নিয়ে যায়। ওই দিনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের একটি বাড়িতে মেয়েটিকে জোর করে বিয়ের চেষ্টা করে ওই যুবক। বিয়েতে সম্মতি হয়নি ওই ছাত্রী।
পরে একটি নোটারি পাবলিকের কাগজে সই নিয়ে পরদিন গত ১৫ সেপ্টেম্বর ওই ছাত্রীকে নিয়ে যায় সিলেটে। মাজার সংলগ্ন একটি হোটেলের একটি কক্ষে ওই ছাত্রীকে রেখে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে একাধিকবার ধর্ষণ করে রবিউল আউয়াল। পরদিন সকালে ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে বাথরুমে আটক রেখে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায় রবিউল। পরে কিশোরীর চিৎকারে হোটেলের লোকজন তাকে বাথরুম থেকে উদ্ধার করে।
ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজম উদ্দিন মাহমুদ বলেন, মাদ্রাসা ছাত্রীকে মাধবপুর এলাকা থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে সিলেটে নিয়ে ধর্ষণ করে। ঘটনায় মাদ্রাসাছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় ওই যুবকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ ও চুরির মামলা দায়ের করেছে।
তিনি আরো জানান, অভিযুক্ত রবিউলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসা ছাত্রীকে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে।